বার্তা পরিবেশক ::
মহেশখালীতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়েছে ৩৬ জনের উল্লেখ করে এবং ৭০জন অজ্ঞাত আসামী ৪ নভেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় ৩ নভেম্বর আটক বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। তবে এই মামলাটিকে ‘গায়েবী’ ও ‘হাস্যকর’ দাবি করেছেন মহেশখালী উপজেলা ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এই দাবি জানিয়ে তারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যার ৭টার দিকে শাপলাপুর বাজারে বিএনপি-জামায়াতের একদল নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে সড়কে টমটম ভাংচুর করে নাশকতা সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের ১১জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর মহেশখালী থানার এসআই পঙ্কজ দাশ বাদি হয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সচিমারপাড়া গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিন এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম(৪৮),শাপলাপুর পশ্চিমপাড়ার নুরুল কবিরের পুত্র আব্দুল মান্নান (৩০) শাপলাপুর মিঠাছগি এলাকার জালাল আহম্মদ এর পুত্র মোর্শেদ (৩২) শাপলাপুর দিনেশপুরের মাওলানা আব্দুল হক এর পুত্র মোঃ রিয়াজুল ইসলাম(৩৫) মাতারবাড়ি তিতামাঝজিপাড়ার মৃত এখলাস মিয়ার পুত্র নুরুজ্জামান (৩০) মাতারবাড়ি মিয়াজিরপাড়ার আব্দুল মজিদের পুত্র মোঃসোহেল(২৩) হোয়ানক পানিরছড়া এলাকার মৃত মোঃরশিদের পুত্র মোঃছৈয়দ কবির (৪০) কালামারছড়া আধারঘোনা এলাকার মৃত গোলাম কাদেরের পুত্র আনোয়ার হোসেন (৩৭), কালামারছড়া ছড়ার লামা এলাকার মৃত হাজী মোঃ শরীফ এর পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ (৫০) কালামারছড়া মিজ্জিরপাড়া এলাকার মৃত হাজী গুরা মিয়ার পুত্র একরামুল হক (৫৮) শাপলাপুর সাতঘর পাড়া এলাকার মৃত হাজী আসদ আলীর পুত্র মৌলভী আব্দুল গফুর (৫৬) কে আটক করে। উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সচিমারপাড়া গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিন এর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম(৪৮),শাপলাপুর পশ্চিমপাড়ার নুরুল কবিরের পুত্র আব্দুল মান্নান (৩০) শাপলাপুর মিঠাছড়ি এলাকার জালাল আহম্মদ এর পুত্র মোর্শেদ (৩২) শাপলাপুর দিনেশপুরের মাওলানা আব্দুল হক এর পুত্র মোঃ রিয়াজুল ইসলাম(৩৫) মাতারবাড়ি তিতামাঝজিপাড়ার মৃত এখলাস মিয়ার পুত্র নুরুজ্জামান (৩০) মাতারবাড়ি মিয়াজিরপাড়ার আব্দুল মজিদের পুত্র মোঃসোহেল(২৩) হোয়ানক পানিরছড়া এলাকার মৃত মোঃরশিদের পুত্র মোঃ ছৈয়দ কবির (৪০) কালামারছড়া আধারঘোনা এলাকার মৃত গোলাম কাদেরের পুত্র আনোয়ার হোসেন (৩৭) কালামারছড়া ছড়ার লামা এলাকার মৃত হাজী মোঃ শরীফ এর পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ (৫০) কালামারছড়া মিজ্জিরপাড়া এলাকার মৃত হাজী গুরা মিয়ার পুত্র একরামুল হক (৫৮) শাপলাপুর সাতঘর পাড়া এলাকার মৃত হাজী আসদ আলীর পুত্র মৌলভী আব্দুল গফুর (৫৬) কে আটক করে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা বিএনপি ও মহেশখালী উপজেলা বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন- ওই দিন শাপলাপুর বাজার বা উপজেলা কোথাও কোনো ঘটনা ঘটায়্িন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে ‘গায়েবী ও ‘হাস্যকর’ মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলায় উপজেলা জুড়ে রাতের আঁধারে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ। হয়রানির ভয়ে নেতাকর্মী ঘরছাড়া হয়ে গেছে। এই মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে সরকারের পক্ষ হয়ে পুলিশ সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও গায়েবী মামলাটি দায়ের করেছে। মহেশখালীর রাজনৈতিক সুন্দর ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশকে বিঘœ করতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘সরকার নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিকে নিয়ে ভয়ে আছে। তাই একদিকে সংলাপ অন্যদিকে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী ও হাস্যকর মামলা দায়ের করছে। মহেশখালীর মামলাটিও এই ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা বলতে চাই মামলা আর ধরপাকড় করে বিএনপিকে দমানো যাবে না।’
পাঠকের মতামত: